বিগত ২০২৪ সালের জুলাইয়ে সংঘটিত গণঅভ্যুত্থানকে ‘দ্বিতীয় স্বাধীনতা’ হিসেবে ব্যাখ্যা করা ঠিক কি না, তা নিয়ে দ্বিমত প্রকাশ করেছে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনের দুই শীর্ষ দল বিএনপি ও এনসিপি।
আজ ২৬ মার্চ, স্বাধীনতার ৫৫তম বছর। শোষণ-বৈষম্যের বিরুদ্ধে বাঙালির আত্মত্যাগের প্রতীক হিসেবে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন সর্বস্তরের মানুষ। তবে এর মধ্যেই একাত্তর ও চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের তাৎপর্য নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, ‘দ্বিতীয় স্বাধীনতা’ বলে কিছু নেই।
তিনি বলেন,"আজকের স্বাধীনতা দিবস প্রমাণ করবে যে দ্বিতীয় স্বাধীনতা বলে বাংলাদেশে কিছু নেই। যারা এটি প্রচার করছে, তারা আসলে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের মর্যাদা খাটো করতে চায়।"
তিনি আরও বলেন,"একাত্তরের স্বাধীনতা অর্জনে তাদের কোনো ভূমিকা ছিল না, তাই আজ তারা স্বাধীনতা দিবসকে খাটো করার চেষ্টা করছে। এ ধরনের বিভ্রান্তিকর বক্তব্য থেকে সবাইকে বিরত থাকা উচিত।"
অন্যদিকে, এনসিপি (ন্যাশনাল সিটিজেন পার্টি) প্রধান নাহিদ ইসলাম বলছেন, ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থান একাত্তরের আকাঙ্ক্ষা পূরণেরই ধারাবাহিকতা।
তিনি বলেন,"চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়েই একাত্তরের স্পিরিট পুনরুজ্জীবিত হয়েছে। ফলে যারা এটাকে পরস্পরবিরোধী হিসেবে দাঁড় করাচ্ছে, তাদের উদ্দেশ্যই অসৎ।"
তিনি আরও অভিযোগ করেন,"একদিকে ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য একতরফা নির্বাচন চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে, অন্যদিকে ফ্যাসিস্টদের পুনর্বাসনের চেষ্টা চলছে। এটি কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না।"
এক পক্ষ বলছে, একাত্তরই একমাত্র স্বাধীনতা, আরেক পক্ষ মনে করে, ২০২৪ সালে গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে জনগণ নতুন করে অধিকার আদায়ে রুখে দাঁড়িয়েছে। ফলে এটি ‘দ্বিতীয় স্বাধীনতা’ না হলেও, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়।